| |
               

মূল পাতা রাজনীতি এবার রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাচ্ছে না জেএসডি


এবার রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাচ্ছে না জেএসডি


রহমত ডেস্ক     07 January, 2022     07:32 PM    


একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে চলমান রাষ্ট্রপতির সংলাপকে ‘অর্থহীন’ অভিহিত করে সেই সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। এর আগে, আরো চারটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে অংশ নেননি। দলগুলো হলো: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপি।

আজ (৭ জানুয়ারি) শুক্রবার বিকালে রাজধানীর উত্তরাস্থ নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিদ্ধান্ত জানান জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব। সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, তৌহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা কামাল পাটোয়ারী ও বেলায়েত হোসেন বেলাল প্রমুখ। এর আগে তার বাসায় দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক হয়। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সোমবার জেএসডির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের সময়সূচি নির্ধারিত হলেও দলটি আজ শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নিলো তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব বলেছেন, যেহেতু বর্তমান সরকার সংবিধানের ইচ্ছা আকাঙ্খা ও সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে না, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবি মামলা দিচ্ছে এবং পুরনো মামলার সূত্র ধরে আবারও গ্রেফতার শুরু করেছে, সেহেতু শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনের জন্য কোনো গ্যারান্টি বা সমাধান নয়। ফলে, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে জেএসডি অংশগ্রহণ করছে না। এ ধরনের অর্থহীন সংলাপ রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সুরক্ষার উপযোগীও নয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় এবং তথাকথিত নির্বাচনকে সরকার বৈধতা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি এখন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা ‘জাতীয় সরকার’ এর প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছি। সংলাপ হবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে নয়, সংলাপ হতে হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে। চলমান সংলাপ বিষয়ে দলের অবস্থান জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে তারা চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

 

গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিনে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাথে সংলাপে বসেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। এ পর্যন্ত মোট নয়টি রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল ৩ জানুয়ারি সংলাপে যোগ দিবে গণতন্ত্রী পার্টি সন্ধ্যা ছয়টায়, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সন্ধ্যা সাতটায় এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। ৪ জানুয়ারি সংলাপ হবে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাথে সন্ধ্যা ছয়টায় ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সন্ধ্যা সাতটায়। ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা হবে জাতীয় পার্টি-জেপি’র সাথে সংলাপ এবং সন্ধ্যা সাতটায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাথে। ৬ জানুয়ারি গণফ্রন্টের সাথে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি সাথে সন্ধ্যা সাতটায় সংলাপের কথা রয়েছে। এদিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাথে আলোচনা হবে ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল’র সঙ্গে ওই দিন সন্ধ্যা সাতটায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।

এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি 'সার্চ কমিটি'র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান ইসির পাঁচ